আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় লক্ষ্মীপুর জেলার শিল্প প্রতিষ্ঠান।
লক্ষ্মীপুর জেলার শিল্প প্রতিষ্ঠান:-

দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এক মাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান । শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, বিসিক,লক্ষ্মীপুর উক্ত করপোরেশনের আওতাধীন জেলা পর্যায়ের কার্যালয় । ১৯৮৭ সনে উক্ত কার্যালয় লক্ষ্মীপুরে স্থাপিত হয় ।
উক্ত কার্যালয় জেলা প্রশাসক,লক্ষ্মীপুরের কার্যালয় হতে প্রায় ০১ কিলোমিটার পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের উত্তর পার্শ্বে বিসিক শিল্প নগরী,লক্ষ্মীপুরের প্রবেশ পথের সন্নিকটে অবস্থিত। অত্র জেলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের দ্রুত উন্নয়ণের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের অবদানকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করাই এ কার্যালয়ের কর্মকান্ডের প্রধান উদ্দেশ্য।

লক্ষ্মীপুর নামে সর্বপ্রথম থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাঞ্ছানগর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। পরে এই পৌরসভাটির বিস্তৃতি ঘটে। রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।
লক্ষ্মীপুর জেলার নামকরণ নিয়ে কয়েকটি মত প্রচলিত রয়েছে। লক্ষ্মী, হিন্দু ধর্মানুসারে ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী (দুর্গা কন্যা ও বিষ্ণু পত্নী) এবং পুর হল শহর বা নগর। এ হিসাবে লক্ষ্মীপুর এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায় সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী। ঐতিহাসিক কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তৎকালীন নোয়াখালীর পরগণা ও মহালগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন। এতে দেখা যায়, বাঞ্ছানগর ও সমসেরাবাদ মৌজার পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর নামে একটি মৌজা ছিল। আজকের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মৌজাই তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজা।

আরও পড়ুনঃ
